আমরা কি ললিপপ খাবো : রিজভীকে মমতার কটাক্ষ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
০৯-১২-২০২৪ ০৭:০৬:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-১২-২০২৪ ০৭:০৬:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
কেবল কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গ-বিহার-ওড়িশা দখলের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তা নিয়ে শোরগোল। পশ্চিমবঙ্গে সেই হুঁশিয়ারির আঁচ পড়লো বিধানসভাতেও। বিএনপি নেতাকে চরম কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি সবাইকে সংযত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।
রুহুল কবীর রিজভীর এক সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আপনারা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশা দখল করবেন? আর আমরা ললিপপ খাবো? এই ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আমরা যথেষ্ট সক্রিয়, কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিই। অতিরিক্ত কথা বলে প্ররোচনা সৃষ্টি করবেন না।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, উসকানিমূলক মন্তব্য বা কার্যক্রম যেন সীমান্ত রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত না করে।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বলেন, পড়শি দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু হিন্দু, মুসলিম, শিখ বা খ্রিস্টানরা দাঙ্গা শুরু করে না। দাঙ্গা শুরু করে সমাজবিরোধীরা। আমাদের এমন কিছু বলা উচিত নয় যা পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খারাপ করে। আমি খুশি যে, এখানে হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যালঘুরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করছে। এটি আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবের প্রমাণ দেয়।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা প্রতিবাদ মিছিল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমি তাদের সেই পথে না যেতে বলেছি। অনেকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। দাঙ্গা শুরু হতে পারে। আমরা দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান সবার রক্ত একই।
মুখ্যমন্ত্রী কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সংযতভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে। তিনি বলেন, এটি উত্তরপ্রদেশ বা রাজস্থান নয় যে আপনাদের নিষিদ্ধ করব বা গ্রেফতার করব। তবে অনুরোধ করছি, অনেক ভুয়া ভিডিও ঘুরছে। একটি রাজনৈতিক দল আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। উভয় সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকতে হবে। যারা এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করার কথা ভাবছেন, তারা মনে রাখুন এটি আপনার রাজ্যকেও আঘাত করবে।
বাংলাদেশ থেকে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসতে চাইছেন। বিএসএফ বিষয়টি দেখছে। আমরা এ নিয়ে মন্তব্য করব না। যাদের অর্থ আছে, তারা প্লেন বা ট্রেনে আসছেন, কিন্তু গরিবরা পারছেন না। আমরা সীমান্ত বা পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করি না।
এর আগে, বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনই বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দাবি করলেও তিনি যে মোদি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে মেনে নেবেন, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।
বাংলাস্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স